বাউফল প্রতিবেদক ॥ পটুয়াখালীর বাউফলের কালাইয়া ইউনিয়নের যুবলীগ নেতা তাপস দাস, কেশবপুর ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা জোড়া খুন রাকিব উদ্দিন রুমন তালুকদার ও ইশাদ তালুকদারের হত্যার সাথে জড়িত খুনিদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় যুবলীগ। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে বাউফল প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত ওই মানবন্ধন কর্মসূচিতে যুবলীগের কয়েকশত নেতাকর্মী ও নিহতদের পরিবারের লোকজন অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- বাউফল উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শাহজাহান সিরাজ, সাধারণ সম্পাদক ও কালাইয়া ইউপির চেয়ারম্যান ফয়সাল আহম্মেদ মনির মোল্লা, স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি হারুন অর-রশিদ, যুবলীগ নেতা রুমনের বড় ভাই কেশবপুর ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি সালেহ উদ্দিন পিকু প্রমুখ।
গত ২ আগস্ট সন্ধ্যায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্রের জের ধরে কেশবপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি রুমন তালুকদার ও যুবলীগ সদস্য ইশাদ তালুকদারকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় রুমন তালুকদারের বড় ভাই মফিজ ফিজউদ্দিন মিন্টু তালুকদার বাদী হয়ে ওই ইউপির চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন লাভলুকে প্রধান আসামী করে ৫৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করলে পুলিশ ১২জনকে গ্রেফতার করে। মামলার প্রধান আসামী চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন লাভলু হাইকোট থেকে জামিনে আছেন। অপরদিকে গত ২৪ মে বাউফল থানার সামনে বাউফল পৌরসভা কর্তৃক করোনা ভাইরাস সংকট প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য বার্তার একটি তোরণ নির্মাণ করতে গেলে স্থানীয় এমপি সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ সমর্থিত পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফারুক তার লোকজন নিয়ে বাধা দিলে পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বাউফল পৌর মেয়র জিয়াউল হক জুয়েলের কর্মী ও সমর্থক দের মধ্যে সংঘর্ষ হয় তাতে আ স ম ফিরোজ এমপি সমর্থিত কালাইয়া ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা তাপস দাস ছুরির আঘাতে নিহত হন। এ ঘটনায় তাপসের বড় ভাই পঙ্কজ দাস বাদী হয়ে মেয়র জিয়াউল হক জুয়েলকে প্রধান আসামী করে ৩৫ জনকে আসামী করে বাউফল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। প্রধান আসামী মেয়র জিয়াউল জুয়েলসহ ১৬জন হাইকোট থেকে জামিনে আছেন। বক্তরা তিন যুবলীগ নেতার হত্যাকারীদের সাথে জড়িত সকল আসামীদেরকে গ্রেফতার করে সঠিক ভাবে তদন্ত করে উপযুক্ত বিচারের দাবি করেন।’
Leave a Reply